এমএলএসে খেলেই সেরা প্রস্তুতি নিতে পারবেন, বিশ্বাস মেসির
২০২৬ সালের বিশ্বকাপকে খেলতে চান লিওনেল মেসি। আসরটিকে সামনে রেখে পরিষ্কার বার্তাই দিলেন তিনি। আর যুক্তরাষ্ট্রে খেলা তার জন্য হয়ে উঠতে পারে অপ্রত্যাশিত এক সুবিধা। এমনটাই ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানালেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই মহাতারকা।
মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) মৌসুম শেষ হওয়ার পর টানা তিন মাস থাকতে হবে মাঠের বাইরে। অনেকের মতে, এ সময়টা ইউরোপে খেললে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য ভালো প্রস্তুতি হতো মেসির জন্য। কিন্তু মেসি মনে করেন ইউরোপভিত্তিক ফুটবলারদের তুলনায় এমএলএসের মৌসুম কাঠামোই তাকে এনে দেবে ম্যাচ-ফিটনেস ও শারীরিক সতেজতা।
সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, 'বিশ্বকাপ আমাদের ইউরোপের তুলনায় পুরো ভিন্ন সময়ে ধরছে। আমরা জানুয়ারিতে প্রিসিজন শুরু করব। ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস লিগ আর এমএলএস নিয়মিত ম্যাচ খেলে আমি দারুণ ম্যাচ-ফিট অবস্থায় বিশ্বকাপে যেতে পারব।'
২০২৬ বিশ্বকাপ যখন অনুষ্ঠিত হবে জুন–জুলাইয়ে, তখন ইউরোপের ফুটবলাররা লম্বা মৌসুম শেষে ক্লান্ত অবস্থায় টুর্নামেন্টে নামবেন। কিন্তু মেসির ক্ষেত্রে হবে উল্টো চিত্র।
মেসির ভাষায়, 'এটা সত্যি, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে যাব। আশা করি ভালো একটি প্রিসিজন করতে পারব।'
বিশ্বকাপে খেলবেন কি না? এমন প্রশ্নে মেসি আবারও জানালেন তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের শারীরিক অনুভূতির ওপর ভিত্তি করে। 'আমি দিন দিন এগোতে চাই। বাস্তববাদী থাকতে চাই। এই বছর খুব ভালো অনুভব করেছি, অনেক ম্যাচ খেলতে পেরেছি,' বললেন তিনি।
আগামী জুনে ৩৯ পূর্ণ করবেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মেসি জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা করেন কোচ লিওনেল স্কালোনির সঙ্গে।
'স্কালোনি সব বোঝেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা বলেছি। তিনি সবসময় বলেন, আমাকে তিনি দলে চান যেখানেই আমি খেলি না কেন। আমাদের মধ্যে অনেক বিশ্বাস।'
'তার সবচেয়ে বড় শক্তি দলকে কাছে টেনে রাখা, প্রত্যেকের কাছে আলাদা করে পৌঁছাতে পারা। ফুটবল জ্ঞান তো আছেই, দলটা তিনিই গড়ে তুলেছেন,' যোগ করেন মেসি।
ওয়াশিংটনে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের গ্রুপ ড্র। আর্জেন্টিনা আছে পট–১ এ, অর্থাৎ তারা হবে গ্রুপ শীর্ষে।