মুশফিক জোড়া সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার সুযোগ কেন পেলেন না?
ক্রিকেট ইতিহাসে ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড আছে কেবল রিকি পন্টিংয়ের। ২০০৬ সালে সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১২০ রান করা অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ১৪৩ রানে। তার অনন্য কীর্তিতে ভাগ বসানোর সুযোগ ছিল মুশফিকুর রহিমের। তবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দেওয়ায় সেই সম্ভাবনা আর বাস্তবে রূপ নিতে পারেনি।
শনিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে মুমিনুল হক আউট হন ৮৭ রানে। তার সাজঘরে ফেরার সঙ্গী হতে হয় অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটার মুশফিককে। ইনিংস ঘোষণার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ২৯৭ রান। টাইগাররা ততক্ষণে ৫০৮ রানের বিশাল লিড পেয়ে গেছে। মুশফিক অপরাজিত থেকে যান ৫৩ রানে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার স্মরণীয় উপলক্ষ সেঞ্চুরি দিয়ে রাঙিয়ে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ছিলেন স্পেশালাইজড ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি ব্যাখ্যা দেন, দলীয় চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়েই মুশফিককে আরেকটি সেঞ্চুরির চেষ্টা করতে না দিয়ে ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট, 'যেহেতু আসলে এটা (ক্রিকেট) একটা দলগত খেলা, ব্যক্তিগত খেলার চিন্তা প্রাধান্য এখানে থাকে না। যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স করলেই দলীয় পারফরম্যান্সটা হয়। কিন্তু এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যে, আমাদের (লিড) ইতোমধ্যে ৫০০ রান হয়ে গিয়েছে।'
ইনিংস ঘোষণার সময় টেস্টের দেড় দিনেরও বেশি সময় বাকি ছিল। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক তারকা আশরাফুল বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, আয়ারল্যান্ডের ১০ উইকেট নিতে আমাদের যে ওভারগুলো প্রয়োজন, ওটা এখনও আছে। চাইলে আরও এক ঘণ্টা ব্যাটিং করা যেত, কিন্তু তাতে বিষয়টা ঠিক মানানসই হতো না। স্পিরিট অব ক্রিকেট মাথায় রেখেই ম্যানেজমেন্ট ভেবেছে, মমিনুল যেহেতু কাছাকাছি ছিল (সেঞ্চুরির), তাকে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। দুর্ভাগ্য যে সে পারল না। সেই কারণেই খেলা আর বাড়ানো হয়নি।'
ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পথে রয়েছে বাংলাদেশ। সেজন্য আগামীকাল পঞ্চম দিনে আর মাত্র ৪ উইকেট চাই নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। আইরিশরা দিন শেষ করেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলে।