নরসিংদী মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে ছিলেন না ডিসি-এসপি, স্থানীয়দের ক্ষোভ
১২ ডিসেম্বর নরসিংদী মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়রা।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয় নরসিংদী। প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়। আজ শুক্রবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত র্যালি হয়। এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে শুরু হয় আলোচনা সভা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এবং সভাপতি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের থাকার কথা ছিল। কিন্তু তারা ছিলেন না। জেলার এসপি মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান খানও উপস্থিত ছিলেন না অনুষ্ঠানে।
তবে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ ও সিভিল সার্জন সৈয়দ আমিরুল হক শামীম যোগ দেন অনুষ্ঠানে।
ডিসি-এসপির না থাকা প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডিসি, এসপি ও কমান্ডার—তারা কেউই অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তারা থাকলে ভালো হতো।'
বীর বিক্রম খন্দকার মতিউর রহমানের ছেলে খলিলুর রহমান আপেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'আগের বছরগুলোতে আমাদের আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হতো। এবার দাওয়াত পাইনি। এতে আমরা ব্যথিত। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনুপস্থিতি আমাদের আরও কষ্ট দিয়েছে।'
এ ব্যাপারে জানতে জেলা প্রশাসককে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, 'জেলা প্রশাসক অসুস্থ। তিনি বাসা থেকে নির্বাচন কমিশনের একটি অনলাইন সভায় অংশ নেওয়ায় অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি।'
পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক টেলিফোনে বলেন, 'ঢাকায় প্রশিক্ষণে থাকায় আমি অনুপস্থিত ছিলাম। এতে সমালোচনার কিছু নেই।'
গত বছর নরসিংদী মুক্ত দিবসে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে শিল্পকলা একাডেমি থেকে র্যালি বের হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।
২০২৩ সালে 'বিজয় কনসার্ট' ও আতশবাজি উৎসবের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মোসতাক আহমেদ, পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান পিপিসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।