বকেয়া বেতনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে কমিউনিটি হেলথ কর্মীরা
১৬ মাসের বকেয়া বেতন ও স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)।
গতকালের পর আজ বুধবারও রাজধানীর মহাখালীর বিএমআরসি ভবনে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সামনে অবস্থান নিয়েছেন অন্তত ১০০ জন আন্দোলনকারী।
সিএইচসিপি কর্মী বিলকিস আক্তার মিথিলা গতকাল তার পাঁচ মাসের শিশুসন্তানটিকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় আসেন আন্দোলনে যোগ দিতে।
তিনি বলেন, 'আমি সারা দিনরাত এখানেই কাটিয়েছি। আমার সন্তানের জ্বর ছিল। তবু আমার কোনো উপায় ছিল না। ১৬ মাস বেতন ছাড়া জীবন চালানো অসম্ভব।'
সম্প্রতি বিলকিসের বাবা ক্যান্সারে মারা যান। তারপর থেকে তিনি জামালপুরের সারিষাবাড়িতে মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গেই থাকছেন। তিনি বলেন, 'আমার বাবা চিকিৎসা পায়নি। আমি ঠিকমতো খরচ দিতে পারি নাই।'
আরেকজন সিএইচসিপি কর্মী ফাহিম উদ্দিন জানান, ২০২৩ সালের মার্চে ৬৬২ জন কমিউনিটি ক্লিনিকে যোগদান করেছিলেন, যার মধ্যে তিনিও একজন। গত বছরের জুন পর্যন্ত তারা নিয়মিত বেতনও পেয়েছেন। তবে ওই বছরের জুলাই থেকে তারা আর বেতন পাচ্ছেন না। খুব কষ্টে তাদের জীবন কাটাতে হচ্ছে।
ফাহিম আরও বলেন, '২০১১, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ পাওয়া সিএইচসিপি কর্মীদের গত বছরের ডিসেম্বর থেকে রাজস্ব বাজেটের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু বাকিদের আনা হয়নি। ফলে বৈষম্য তৈরি হয়েছে।'
তিনি জানান, তারা স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দুবার সাক্ষাৎও করেছেন। তিনি আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও গত ১৬ মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না।