ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিয়েছিলেন মাদ্রাসা সুপার, অভিযোগ পরিবারের
ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী (১৪) আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন।
মামলায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার (৫১) ও তার সহযোগী হিসেবে শিক্ষক খাদিজা বেগমকে (৩০) গতকাল শুক্রবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ধর্ষণের ৮ দিন পর গত ৪ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করে ভুক্তভোগী কিশোরী।
পরিবার জানায়, গত ২৬ নভেম্বর মাদ্রাসা ছুটির পর কিশোরীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন মাদ্রাসা সুপার মাহমুদুল হাসান।
পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার শিক্ষক খাদিজা ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন।
ওই কিশোরীর বড় বোন সাংবাদিকদের বলেন, 'ওই ঘটনার পর আমার বোন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার ম্যাডাম ফোন করতেন এবং এসএমএস করতেন। তিনি বলতেন, আমার বোন মাদ্রাসায় না গেলে ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেবেন। এ কারণেই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।'
গত ৪ ডিসেম্বর রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে মাদ্রাসার সুপার মাহমুদুল ও শিক্ষক খাদিজাকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'খাদিজা ম্যাডামের সহযোগিতায় মাদ্রাসা সুপার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ অপমান সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।'
মামলার তথ্য নিশ্চিত করে মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।'
