কক্সবাজার সৈকতে ‘প্লাস্টিকের দৈত্য’

বাসস
বাসস
4 December 2025, 02:46 AM
UPDATED 4 December 2025, 08:55 AM

সাগরে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কক্সবাজার সৈকতে তৈরি করা হয়েছে এক ভাস্কর্য। জেলা প্রশাসন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে একদল স্বেচ্ছাসেবী এই ভাস্কর্য তৈরি করেছে। 

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে প্রদর্শন করা হচ্ছে ভাস্কর্যটি। প্রথম দর্শনে পর্যটকদের মনে ভয় ধরিয়ে দিলেও কাছে যেতেই তা কেটে যাবে। তারা জানতে পারবেন প্লাস্টিক দূষণে প্রাণ-প্রকৃতির ক্ষতির মাত্রা।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় এই ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান। আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহীদুল আলম ও বিদ্যানন্দের গভর্নিং বডির সদস্য জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

আয়োজকেরা জানান, পর্যটকদের অনেকে সৈকতের বালিয়াড়ি ও সাগরের পানিতে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলেন। এতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে দূষণ এবং হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক জীব ও মানবজীবন। দূষণ রোধে ও সচেতনতা তৈরিতে ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান বলেন, জেলা প্রশাসন সবসময়ই এমন উদ্যোগের সঙ্গে থাকবে। আশা করছি এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষ প্লাস্টিক ব্যবহারে আরও সতর্ক হবে।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, সরকারের পলিসির সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা সারা দেশ থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে ৫০০ টন পরিত্যক্ত প্লাস্টিক রিসাইকেল করেছি। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ছয় মাসব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে কাজ করব। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ভাস্কর ও শিল্পী আবীর কর্মকার জানান, প্লাস্টিকের দানবটি তৈরি করেছে বিভাগের একদল শিল্পী। 

শিল্পীদের দাবি, এটি ওশান প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় 'প্লাস্টিক দৈত্য'। আর এই ভাস্কর্য তৈরিতে প্রায় ছয় টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়েছে।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবক মুহাম্মদ মুবারক জানান, প্রায় চার মাস ধরে কক্সবাজার, ইনানী ও টেকনাফের সমুদ্র সৈকত থেকে অন্তত ৮০ টন সামুদ্রিক প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব বর্জ্যর একটা অংশ দিয়ে এই 'প্লাস্টিক দানব' নির্মাণ করা হয়েছে। এটি পুরো পর্যটন মৌসুমে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।