হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতেও বিক্ষোভ

By নিজস্ব সংবাদদাতা, জাবি
10 August 2025, 09:27 AM
UPDATED 10 August 2025, 15:35 PM

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণার পর শনিবার রাতে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।

এসময় তারা হলে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ও হলে ঘোষিত কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান।

'হল রাজনীতির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'এক দুই তিন চার, হল রাজনীতি নো মোর' ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল থেকে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি বেশ কয়েকটি হল প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ, ভবিষ্যতে হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী এবং গণরুম ও গেস্টরুমে 'র‍্যাগিং' সংস্কৃতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তির সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন, অতি দ্রুত হল সংসদ গঠন করে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংগঠনের যেকোনো উপহারসামগ্রী একমাত্র হল প্রশাসনের মাধ্যমে প্রদান এবং এতে ওই সংগঠনের নাম বা কোনো চিহ্ন ব্যবহার না করা, হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগতদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ, হলের মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ।

বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সাকিব বলেন, 'আমরা ক্যাম্পাসের রাজনীতিকে সমর্থন করতে পারি, কিন্তু হলগুলোতে নয়। যদি হলের রাজনীতি ফিরে আসে, তাহলে গেস্টরুম, র‌্যাগিং এবং আধিপত্য-ভিত্তিক রাজনীতি হবে।'

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, 'অবিলম্বে সব ছাত্রসংগঠন তাদের হল কমিটি বাতিল না করলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।'

শিক্ষার্থীদের এসব দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, 'আগামীকাল রোববার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হবে, এরপর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।'

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলে ছাত্রদলের কমিটি দেওয়া হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।