‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই’
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনবলে রূপান্তর করতে কারিকুলাম পরিবর্তনসহ সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের সদস্য ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় এমনটি জানায়।
গত ২৬ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্যের স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা সহযোগিতা ও ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং, পাবলিক হেলথ এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির নানাবিধ ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করে।
এরই ধারাবাহিকতায় একটি গোল টেবিল আলোচনার আয়োজন করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স। এই আলোচনার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের মেয়র অ্যান্ডি বারনহাম, ওল্ডহ্যামের এমপি জিম ম্যাকমেহোন ও ওল্ডহ্যাম কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার।
হাউস অব কমন্সে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ভাগ্যোন্নয়নে কারিগরি শিক্ষা, এআই প্রযুক্তির ব্যবহার ও ডিজিটাল শিক্ষা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এরইমধ্যে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার সঙ্গে কারিগরি ও এআই শিক্ষা সহযোগিতা তৈরির জন্য সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই করেছে।
ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের এই আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে ব্রিটিশ এমপি জিম ম্যাকমেহোন বলেন, বৈশ্বিক অংশীদারত্ব ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার মান উন্নত করতে যা যা করা দরকার, তা তিনি করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে গ্রেটার ম্যানচেস্টার বাংলাদেশ পার্টনারশিপের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বলেন, আধুনিক কারিগরি ও ডিজিটাল শিক্ষাই বাংলাদেশের জন্য এক আলোকিত ভবিষ্যৎ রচনা করতে পারে।
স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের পক্ষে অধ্যাপক নিক বিচ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটা সায়েন্সের অধ্যাপক মো সারে বলেন, এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সব রকম সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি নূরানী রোপমা, মুবিন খান, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাউথ এশিয়ার ডিরেক্টর ডেভিড নকসসহ আরও অনেকে।
বক্তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রিটিশ এমপি জিম ম্যাকমেহোন।