গাজীপুরে পরপর ভূমিকম্পে পোশাক শ্রমিকদের আতঙ্ক
গাজীপুর ও আশপাশের এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কাজে যাননি, কেউ আবার ভয়ে কারখানা থেকে দ্রুত নেমে আসেন।
আজ শনিবার টঙ্গী–কোনাবাড়ী–শ্রীপুর এলাকার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকালের পর আজ সকালে আবারও কম্পন অনুভূত হওয়ায় ভীতি বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে বাইপাইল এলাকায় ৩.৩ মাত্রার কম্পন রেকর্ড করে।
কোনাবাড়ীর শ্রমিক জাহিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকালকে কারখানা বন্ধ ছিল। ভূমিকম্পের খবর পেয়ে আজকেও ভয়ে যাইনি।'
শ্রীপুরের শ্রমিক রিমো আক্তার জানান, ভূমিকম্প চলাকালে তিন তলা নিচে নামার সময় পা পিছলে পড়ে আঘাত পান তিনি।
ডেনিম্যাক কারখানার শ্রমিক শাহীন বলেন, ভূমিকম্পের সময় ফায়ার অ্যালার্ম বাজলে শ্রমিকরা দৌড়ে নেমে আসেন, কিন্তু মূল ফটক বন্ধ থাকায় তারা আটকে পড়েন। পরে শ্রমিকরাই ফটক ভেঙে বের হন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগর সভাপতি শফিউল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, পরপর কম্পনে শ্রমিকদের ভয় বেড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, কয়েকটি কারখানায় গেট বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বিপদে পড়েছেন। নিরাপদে বের হওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ ডেইলি স্টারকে জানান, ডেনিম্যাক কারখানার আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা চলছে, আজ থেকেই কারখানার কার্যক্রম স্বাভাবিক।
শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, শ্রমিকদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক থাকলেও কাজকর্মে বিঘ্ন হয়নি। তিনি জানান, কারখানাগুলোকে দ্রুত গেট খোলার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা আটকে না পড়েন।
গতকাল সকালেই ঢাকা থেকে পূর্বদিকে ১৩ কিলোমিটার দূরে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে।