তিন অ্যাসিস্টের সঙ্গে গোল, মেসি-ম্যাজিকে ফাইনালে মায়ামি
প্রথমার্ধে হেড থেকে নিজে জাল খুঁজে নিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণচেরা পাসে সতীর্থদের তিনটি গোলে অবদান রাখলেন বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড। তার জাদুকরী নৈপুণ্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপের ইস্টার্ন কনফারেন্সের ফাইনালে উঠল ইন্টার মায়ামি।
সোমবার বাংলাদেশ সময় সকালে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে স্বাগতিক এফসি সিনসিনাটিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মায়ামি। তাদের সবকটি গোলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ৩৮ বছর বয়সী মেসির নাম।
তিন আর্জেন্টাইনকে নিয়ে গড়া মায়ামির আক্রমণভাগ একেবারে তছনছ করে দেয় প্রতিপক্ষকে। মেসির চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সের পাশাপাশি জ্বলে ওঠেন মাতেও সিলভেত্তি ও তাদেও আয়েন্দে। ১৯ বছর বয়সী সিলভেত্তি করেন একটি করে গোল ও অ্যাসিস্ট। ২৬ বছর বয়সী আয়েন্দের পা থেকে আসে জোড়া গোল।
আগামী শনিবার রাতে ইস্টার্ন কনফারেন্সের ফাইনালে মায়ামির প্রতিপক্ষ নিউইয়র্ক সিটি এফসি। আরেক সেমিফাইনালে তারা ১-০ গোল জিতেছে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে। নিউইয়র্ককে হারাতে পারলে এমএলএস কাপের 'আসল' ফাইনালে উঠবে মায়ামি। ওই ম্যাচে জিতলেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত শিরোপা।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। বামপ্রান্ত থেকে সিলভেত্তির ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে উল্লাসে মাতেন তিনি। বিরতির পর তাকে আটকানোর কোনো উপায় খুঁজে পায়নি সিনসিনাটি। ৫৭তম মিনিটে তার পাসে ডি-বক্সে বল পেয়ে কোণাকুণি শটে জাল কাঁপিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সিলভেত্তি।
মেসি-সিলভেত্তির সমন্বয়ের পর মায়ামির বাকি দুটি গোল আসে মেসি-আয়েন্দের যুগলবন্দিতে। সেগুলো ছিল যেন একটি আরেকটির প্রতিচ্ছবি। নিজেদের অর্ধ থেকে নিখুঁত থ্রু বল বাড়ান মেসি। তা ধরে ছুটে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করেন আয়েন্দে। ৬২তম ও ৭৪তম তার গোলে নিশ্চিত হয় মায়ামির বড় জয়।
রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসি গোটা ম্যাচে ছিলেন ঝলমলে। তিনি মোট আটটি সুযোগ তৈরি করেন, যার মধ্যে চারটি ছিল বড়। সিনসিনাটির গোলমুখে তার নেওয়া তিনটি শটের একটি ছিল লক্ষ্যে। ফাইনাল থার্ডে তিনি পাস দেন সাতটি।