‘নির্বাচনকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে ইসি’

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
10 December 2025, 11:30 AM

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও নিবন্ধন না পাওয়ায় 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। দলটি বলছে, 'নির্বাচন কমিশন গড়িমসি করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে আগামী নির্বাচন এবং বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার উপক্রম করছে। তারা এমনকি কোর্টের সুস্পষ্ট রায়েরও অবমাননা করেছে।'

আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জানায়, 'রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর নিবন্ধনের আবেদন করে। হাসিনার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন সুস্পষ্ট কোনো কারণ না দেখিয়ে সে আবেদন খারিজ করে।'

'অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সে আবেদন পুনর্বিবেচনার আবেদন করে। তৎকালীন কমিশন তার জবাবে জানায়, নির্বাচন কমিশনের বিদ্যমান আইনে নিবন্ধনের আবেদন পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন তখন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণা এবং দলকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার আদেশ দিতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে।'

'মহামান্য আদালত শুনানি শেষে গত ২২ সেপ্টেম্বর আইনানুগ রায়ে আমাদের আবেদনের পক্ষে রায় দেন এবং ৯০ডি ধারা অনুযায়ী গঠনতন্ত্র সংশোধন সাপেক্ষে আমাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার নির্দেশনাও প্রদান করেন।'

এতে আরও বলা হয়, 'এরপর আমরা দীর্ঘ সময় যাবত নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে কোনো পদক্ষেপ না পেয়ে গত ৩ অক্টোবর নিজ থেকেই দলের বিশেষ কাউন্সিল সম্পন্ন করি এবং আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করি এবং ৩ নভেম্বর সংশোধিত গঠনতন্ত্র কমিশনে জমা দিই।'

'নির্বাচন কমিশন এরপরও তাদের কালক্ষেপণের নীতি জারি রাখে। তারা আমাদের মৌখিক ভাবে জানায়, আমাদের আবেদন তারা দ্রুত প্রসেস করবে। অন্যদিকে চিঠিপত্রে প্রায় সকল কাগজপত্র পুনর্বার দেওয়ার অনুরোধ করে। সর্বশেষ গত ১ ডিসেম্বর আমরা আবারো প্রায় ২ হাজার পাতার ডকুমেন্ট সরবরাহ করি। কিন্তু এরপরও প্রায় ১০ দিনে তারা সে কাগজপত্র নিয়ে নূন্যতম কোনো কাজ এগোয়নি।'

সারাদেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে দলটি জানায়, 'এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের এই ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে আগামী নির্বাচন এবং আগামী দিনের রাজনীতি থেকে বঞ্চিত করার উপক্রম করেছে। এমন কিছু হলে জাতীয় নির্বাচন, গণভোট ও আগামীর সংস্কার যাত্রা প্রশ্নবিদ্ধ হবে; যা পতিত স্বৈরাচারের এবং এ সময়ের সংস্কার-বিরোধীদের পারপাস সার্ভ করবে।'