স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ডাকসুর প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ, ৩ দফা দাবি

By নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাবি
15 December 2025, 10:54 AM
UPDATED 15 December 2025, 17:37 PM

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলি করার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) একটি প্রতিনিধি দল।

আজ সোমবার দুপুরে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সেখানে এই দলটি তিন দফা দাবি উত্থাপন করে।

প্রতিনিধি দলের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত লীগের বিরুদ্ধে এলাকাভিত্তিক চিরুনি অভিযান শুরু করা।

সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের সব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার কথাও বলা হয়।

ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম জানান, বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠকে তারা দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

সাক্ষাৎ শেষে রাজধানীর হাইকোর্ট মোড়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে সাদিক কায়েম বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।

ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। 

যাদের গাফিলতি প্রমাণিত হবে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানান তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, যারা এই হামলাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছে এবং ওসমান হাদি ও জুলাই বিপ্লবীদের 'হত্যাযোগ্য' করে তুলেছে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।

তিন দফা দাবির অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দল আরও দাবি জানায়—শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রদত্ত রায় কার্যকর করতে হবে। 

পাশাপাশি গণহত্যায় অভিযুক্তদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণ না করা পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার আহ্বান জানানো হয়।