৪২ ফুট গভীরেও পাওয়া যায়নি সাজিদকে, উদ্ধার অভিযান চলবে: ফায়ার সার্ভিস

By নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
11 December 2025, 08:29 AM

রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত নলকূপের গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। এ পর্যন্ত ৪২ ফুটি পর্যন্ত খনন করেছে তারা, তবে এখনো শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে।

তিনি বলেন, 'এ পর্যন্ত আমরা ৪০ থেকে ৪২ ফুট পর্যন্ত খুঁড়েছি, কিন্তু এখনও শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা এখনো সঠিক জায়গা শনাক্ত করতে পারছি না।'

'শিশুটিকে না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। আরও ১০ ফুট গভীর পর্যন্ত খুঁড়তে চাই, তারপর পরিস্থিতি মূল্যায়ন করব,' বলেন তিনি।

এর আগে গতকাল রাতে তানোর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুর রউফ পেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিশুটিকে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে একটি এক্সক্যাভেটর গর্তের পাশেই সমান্তরাল আরেকটি পথ খুঁড়ছে এবং দুটি ট্র্যাক্টর মাটি সরাচ্ছে। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গর্তের ভেতরে নিয়মিত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।'

পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মাটি বোঝাই একটি ট্রলি হঠাৎ সেখানে দেবে যায়। এ ঘটনা দেখতে রুনা খাতুন তার ছেলে সাজিদকে নিয়ে মাঠে যান। হাঁটার সময় সাজিদ হঠাৎ 'মা' বলে চিৎকার করে ওঠে। তখন পেছনে ফিরে রুনা খাতুন বুঝতে পারেন ছেলে গর্তে পড়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর তিনি নিচ থেকে আস্তে আস্তে 'মা, মা' ডাক শুনতে পান।

রুনা খাতুন বলেন, 'গর্তটির মুখ খড় দিয়ে ঢাকা ছিল। আমরা কেউ ঢেকে রাখা গর্তটি দেখতে পাইনি।'

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, 'দুপুর ১টার দিকে দুই বছরের একটি শিশু খুবই সরু পরিত্যক্ত একটি গর্তে পড়ে যায়। উদ্ধার অভিযান চলছে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খনন কাজ শুরু করে।'

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোয়েলহাট গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক কমে গেছে। গ্রামের একজন বাসিন্দা পানির স্তর পরীক্ষা করতে গর্তটি করেছিলেন এবং পরে সেটি ভরাট করেন। কিন্তু বৃষ্টিতে মাটি বসে গিয়ে পুরনো গর্তটি আবার বের হয়ে আসে।