মারা গেছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ আলোকচিত্রী মার্টিন পার
যুক্তরাজ্যের আলোকচিত্রী মার্টিন পার (৭৩) মারা গেছেন। গতকাল রোববার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্টিনের ফাউন্ডেশন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
মার্টিন ছিলেন যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বিখ্যাত আলোকচিত্রী ও সংগ্রাহকদের অন্যতম।
প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যামেরায় ধারণ করেছেন হাজারো স্মরণীয় আলোকচিত্র।
সমুদ্র তীরের শহরের পটভূমিকায় মানুষ, গ্রাম্য মেলা ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত সুইমিং পুলের প্রাণবন্ত ছবিগুলো তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খ্যাতি ও অসংখ্য ভক্ত এনে দিয়েছে। তার ক্যামেরায় তিনি যুক্তরাজ্যের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নানা বিচিত্র ঘটনা ধারণ করেছেন।
ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার মার্টিন যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমের ব্রিস্টলে, নিজ বাড়িতে মারা যান। মার্টিন পার ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'মৃত্যুকালে মার্টিন তার স্ত্রী সুসি, কন্যা এলেন, বোন ভিভিয়েন ও নাতি জর্জকে রেখে গেছেন।'
ফাউন্ডেশন জানায়, 'মার্টিনের রেখে যাওয়া কীর্তির সংরক্ষণ ও সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টি যৌথভাবে দেখভাল করবে মার্টিন পার ফাউন্ডেশন ও ম্যাগনাম ফটোস। তার উইলে আরও তথ্য আছে, যা যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে। মার্টিনকে আমরা সবাই মিস করব।'
আলোকচিত্রীদের স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংগঠন ম্যাগনাম ফটোস-এর সদস্য ছিলেন মার্টিন। তাকে তার প্রজন্মের সবচেয়ে সুপরিচিত আলোকচিত্রীদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হোত।
ম্যাগনামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফটোগ্রাফির জগতে তার কীর্তি ১০০টিরও বেশি প্রকাশনায় ধারণ করা হয়েছে।
মার্টিনের তোলা ছবিগুলো বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি জাদুঘরে স্থান পেয়েছে। এগুলো মধ্যে আছে নিউইয়র্কের মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট, লন্ডনের দ্য টেইট ও প্যারিসের সেন্টার পম্পিদৌউ।
২০০৪ সালে আর্লেস ও ২০১০ সালের দ্বিবার্ষিক ব্রাইটন ফটো প্রদর্শনীর কিউরেটর হিসেবে কাজ করেন তিনি। ২০১৬ সালে লন্ডনের বার্বিকান সেন্টার প্রদর্শনীতেও কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করে মার্টিন।
২০২১ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে আলোকচিত্রের জগতে অসামান্য অবদান রাখার কারণে সিবিই খেতাব পান মার্টিন।

