সিরিয়া প্রসঙ্গে এরদোয়ান-ব্লিঙ্কেন বৈঠক

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
13 December 2024, 05:09 AM
UPDATED 14 December 2024, 01:23 AM

সিরিয়া নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সিরিয়ার পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাতে একযোগে কাজ করে সে বিষয়ে জোর দিয়েছেন দুই নেতা।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক যাতে সিরিয়ার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করে তার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

সিরিয়ায় যখন তুরস্কের সমর্থিত বিদ্রোহীদের সঙ্গে মার্কিন মদদপুষ্ট বাহিনীর সংঘর্ষ হচ্ছে, তখন এই বৈঠক হলো। কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স মার্কিন জোটের সমর্থন পাচ্ছে। এই বাহিনীর নেতৃত্বে আছে পিপলস প্রোটেকশন গ্রুপ (ওয়াইপিজি)। তুরস্ক মনে করে, ওয়াইপিজি হলো কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে যুক্ত সংগঠন।

তুরস্কে যাওয়ার আগে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, 'পিকেকে হলো তুরস্কের বিপদের কারণ। তবে একইসঙ্গে আমরা সিরিয়ার ভিতরে বিরোধ এড়াতে চাই। আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার মসৃনভাবে গঠিত হোক এবং তারা ভালোভাবে কাজ করুক।'

ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জর্ডানের রাজার আলোচনা

cox1.jpg
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন। ছবি: রয়টার্স

বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে তারা সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন। দুজনেই সিরিয়াকে সুরক্ষিত রাখার উপর জোর দিয়েছেন।

ব্লিঙ্কেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, 'এই পরিবর্তনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র জর্ডানসহ সিরিয়ার অন্য প্রতিবেশী দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।'

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, 'সিরিয়া নিয়ে অনেকের সত্যিকারের স্বার্থ আছে। এখন নতুন করে যাতে কোনো সংঘাত না হয়, সেটা দেখা খুবই জরুরি।'

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সাম্প্রতিক আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, 'নেতানিয়াহুর মত হলো, সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করা দরকার। সিরিয়ার সেনাবাহিনী যে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র ফেলে রেখে গেছে, সেগুলো যেন ভুল মানুষের হাতে না পরে।'

জর্ডানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, জর্ডান সিরিয়ার মানুষের পছন্দকে সম্মান করে। সিরিয়া ও তাদের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি এটাও বলেছেন, গাজায় সম্পূর্ণ শান্তি আনাটা খুবই জরুরি।'

জর্ডানে আলোচনা হবে

এই সপ্তাহান্তে আরব ও পশ্চিমা দুনিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জর্ডানে এসে সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন।

সৌদি আরব, ইরাক, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লিগের প্রধান শনিবার এই আলোচনায় যোগ দেবেন। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও সেখানে থাকবেন।

সিরিয়ার ভবিষ্যত ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি নিয়ে সেখানে কথা হবে।

শলৎসের ফোনে কথা

julian nagelsmann
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ফোনে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছেন।

শলৎস মনে করেন, সিরিয়ায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সবাইকে নিয়ে চলা উচিত। দুই নেতাই জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার উপরও জোর দিয়েছেন।

এপি, এএফপি, রয়টার্স