নাগাসাকির স্মরণসভায় ইসরায়েলকে বর্জন, প্রতিবাদে যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
8 August 2024, 09:07 AM

১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে প্রতি বছর শান্তি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এ বছর নাগাসাকির সভায় আমন্ত্রণ পাননি ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত। প্রতিবাদে এই সভা বর্জনের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

শুক্রবার নাগাসাকি পিস পার্কে এ বছরের স্মরণসভা আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ১০০টিরও বেশি দেশের কূটনীতিবিদরা এক মিনিট নীরবতা পালন করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই মর্মান্তিক দিনটিকে স্মরণ করবেন।

নাগাসাকির মেয়র শিরো সুজুকি গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরায়েলকে এবারের সভা থেকে বাদ রাখা হবে। তবে অন্যান্য কয়েকটি পশ্চিমা দেশ হুশিয়ারি দেয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তারাও তাদের প্রতিনিধিদের এই সভায় পাঠাতে দ্বিধা বোধ করবে।

soumya sarkar and anmul haque bijoy
নাগাসাকির মেয়র শিরো সুজুকি। ছবি: এএফপি

ইতোমধ্যে জাপানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাহাম এমানুয়েল জানিয়েছেন, তিনি নাগাসাকির সভায় যোগ দেবেন না।

এর আগে ১৯ জুলাই ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষরিত একটি চিঠি নাগাসাকির মেয়রের কাছে আসে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, 'ইসরায়েলকে বাদ দেওয়া হলে আমাদের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ঝামেলাপূর্ণ হবে।'

জার্মান দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের রাষ্ট্রদূত ক্লেমেনস ফন গেৎজে যোগ দেবেন না। তার বদলে মিনিস্টার কাউন্সিলর যোগ দেবেন।

মঙ্গলবার হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ কোহেন যোগ দেন। এ সময় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা তার বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন।

১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট জাপানের শহর হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিমান থেকে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার পর জাপান নি:শর্ত আত্মসমর্পণ করে এবং কার্যত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে। তবে এতে নিহত হন হাজারো মানুষ। পারমাণবিক বোমার তেজষ্ক্রিয়তাজনিত অসুস্থতায় ভুগে পরবর্তী বছরগুলোতেও অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি হয়।

aseefa_zardari.jpg
পারমাণবিক বোমা হামলার পর নাগাসাকির দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

প্রতি বছর এই দুই শহরে বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পারমাণবিক অস্ত্র চিরতরে নিষিদ্ধের দাবিতে শান্তি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।