ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতায় ঢাকা কলেজে প্রতীকী পতাকা কর্মসূচি
ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতা মাস ২০২৫ উপলক্ষে বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের সহযোগিতায় ঢাকা কলেজে একটি সচেতনতামূলক সেমিনার ও প্রতীকী পতাকা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল।
অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণের গুরুত্ব তুলে ধরা।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকম রফিকুল আলম। সেমিনার সঞ্চালনা করেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মেডিকেল অনকোলজিস্ট ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিশিষ্ট ক্লিনিক্যাল অনকোলজিস্টরা সেমিনারে বক্তৃতা দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ডা. জি. এম. ফারুক, ডা. মো. মোয়াররফ হোসেন, ডা. খোরশেদ আলম, অধ্যাপক ডা. কাজী মনজুর কাদের, ডা. কাজী ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ সোহেল, ডা. আরিফুর রহমান ও ডা. মির্জা মো. সাখাওয়াত হোসেন।
বক্তারা ধূমপান, পরোক্ষ ধূমপান, বায়ুদূষণ ও পেশাগত ঝুঁকিকে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা দীর্ঘস্থায়ী কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকব্যথা ও ওজন হ্রাসের মতো উপসর্গে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের অনকোলজি, বায়োটেক ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিভাগের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মাহমুদুল হক পল্লব বলেন, 'নভেম্বর মাসজুড়ে আমরা ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতার বার্তা সমাজে ছড়িয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ধূমপানমুক্ত কর্মপরিবেশ গড়া, তথ্যভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও সময়মতো চিকিৎসা পরামর্শের সুযোগ এই তিনটি ক্ষেত্রকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।'
অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রতীকী পতাকা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফুসফুস ক্যান্সারে হারিয়ে যাওয়া প্রাণের প্রতি শ্রদ্ধা ও রোগীদের প্রতি সহমর্মিতা জানানো হয়।
সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ইলিয়াস, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, 'এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।'