অনিয়মের অভিযোগে রাঙ্গামাটির ১২টি রিসোর্টে পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ
বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে রাঙ্গামাটির অন্তত ১২টি রিসোর্টকে নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সদর উপজেলার কাপ্তাই হ্রদসংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কর্মকর্তারা পরিদর্শনের সময় দেখেছেন— অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে রিসোর্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
নোটিশে আরও বলা হয়, এছাড়া রিসোর্টগুলোতে সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে। কঠিন ও তরল বর্জ্যও ফেলা হচ্ছে হ্রদে। এতে হ্রদের পানি দূষণ ও পরিবেশগত মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
মুমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া যেসব রিসোর্ট গড়ে উঠেছে, তাদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এই পর্যন্ত ১২টি রিসোর্টে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪টির মতো রিসোর্ট নোটিশের জবাব দিয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'নোটিশ দেওয়ার কারণ হলো রিসোর্টগুলো যেন পরিবেশ আইন মেনে চলে ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করে। এতে করে পর্যটন ঠিক থাকবে, লেক ও পাহাড়ও টিকে থাকবে।'
নোটিশ পাওয়া প্রসঙ্গে রাঙাদ্বীপ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী আলোক ব্রত চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আমাদের রিসোর্টে কোনো মাটি বা পাহাড় কাটা হয়নি। আমরা পরিবেশ দূষণ করছি না। আমাদের রিসোর্টগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রয়েছে। বর্জ্যগুলো নির্দিষ্ট স্থানে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
বার্গি লেক ভ্যালির স্বত্বাধিকারীরা সুমেধ চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিবেশ অধিদপ্তরের থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি তা ঠিক। তবে আমাদের কাগজপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা নোটিশের জবাব দেবো।'
জেলা বা জেলা সদরে কী পরিমাণ রিসোর্ট গড়ে উঠেছে— তার কোনো সুনির্দিষ্ট তালিকা পাওয়া যায়নি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে।