ঢাবিতে রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি

By নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাবি
14 December 2025, 11:20 AM
UPDATED 14 December 2025, 18:20 PM

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচির আয়োজন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থিত ওই ঘৃণাস্তম্ভে কর্মসূচিটি শুরু হয়।

এসময় যুদ্ধাপরাধীদের নিন্দা জানাতে 'নীরব ঘৃণা' শিরোনামের একটি গণস্বাক্ষর বোর্ডে নানা বার্তা লেখেন অংশগ্রহণকারীরা। এর মধ্যে ছিল— '৭১-এর রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়', 'গণহত্যার সমর্থকেরা কীভাবে রাজনীতি করে', 'রাজাকারদের সন্তানরাই এই যুগের কলঙ্কিত বিশ্বাসঘাতক' এবং 'ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য প্রাণী হলো রাজাকাররা' ইত্যাদি।

কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১৯৭১ সালে যারা এই দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতেই আজ এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাকিস্তানের ইতিহাসের সেই অন্ধকার অধ্যায় ভুলে না যায়।'

ঘৃণাস্তম্ভে জুতা নিক্ষেপ করতে আসা এক প্রবীণ সুফি হাসি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যারা এই দেশের মেধাবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের আমি চরম ঘৃণা করি। আমি তাদের মুসলমান বলে মনে করি না—যারা মানুষকে পাখির মতো হত্যা করে।'

ঘৃণাস্তম্ভটি স্থাপনের সময়কার একজন আয়োজক আবু তৈয়ব হাবিলদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০০৭ সালে কয়েকজন সেক্টর কমান্ডারের উপস্থিতিতে এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্থাপন করা হয়েছিল। আমরা সেই আয়োজকদের মধ্যে ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম শিক্ষার্থীরা রাজাকারদের এবং এই স্মৃতিস্তম্ভকে ভুলে যাবে। কিন্তু আজ সকালে শিক্ষার্থীদের এখানে এসে ঘৃণা প্রকাশ করতে দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত হয়েছি। আমিও আমার ঘৃণা প্রকাশ করতে এসেছি।'

স্মৃতিস্তম্ভের পেছনে মতিউর রহমান নিজামী, আল-বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান, চৌধুরী মঈনুদ্দিনসহ দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে।