গোলাম আযম, নিজামীদের ছবি মুছে দিলো ঢাবি প্রশাসন

By নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাবি
14 December 2025, 09:23 AM
UPDATED 14 December 2025, 15:46 PM

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে আঁকা যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিতদের ছবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মুছে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে গতরাতে 'তুলির আঁচড়ে দ্রোহ' শীর্ষক কর্মসূচি পালন করে জগন্নাথ হল সংসদ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা হলের রবীন্দ্র ভবনের সামনের সড়কে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী ও আবদুল কাদের মোল্লার ছবি আঁকেন।

তবে শিক্ষার্থী ও আয়োজকদের অভিযোগ, আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে সেসব ছবি মুছে ফেলা হয়।

597387877_5121284641429480_9057906434933499225_n.jpg
জগন্নাথ হলে ‘তুলির আঁচড়ে দ্রোহ’ শীর্ষক কর্মসূচিতে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি আঁকা হয়। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ হল সংসদের সাহিত্য সম্পাদক কথক বিশ্বাস জয় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই কর্মসূচির মাধ্যমে হলের শিক্ষার্থীরা তিন রাজাকারের ছবি এঁকে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু, হল সংসদকে না জানিয়েই প্রশাসনের লোক এসে ছবিগুলো মুছে ফেলে।'

জগন্নাথ হল সংসদের সহ-সভাপতি পল্লব বর্মণ এমন কাজকে 'স্বেচ্ছাচারী' বলে মন্তব্য করে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক মতপ্রকাশের অধিকার দমনের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃত্ববাদী আচরণ করেছে। আমরা তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।'

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তার ভাষ্য, 'বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো বড় উদ্যোগ আমরা এখনো দেখিনি। অথচ তারা জগন্নাথ হলের এই কর্মসূচিতে হস্তক্ষেপ করেছে। এতেই স্পষ্ট হয়, প্রশাসন আসলে কাদের স্বার্থ রক্ষা করছে।'

599941907_5121284511429493_2743695755763034861_n.jpg
যুদ্ধাপরাধীদের ছবি মুছে দেওয়ার পরের অবস্থা। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক দেবাশীষ পাল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হল সংসদ "রাজাকারদের" ছবি আঁকার অনুমতি নেয়নি, তারা শুধু আলোকচিত্র প্রদর্শনীর অনুমতি চেয়েছিল। অন্য শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছবিগুলো মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।'

এ ঘটনায় মন্তব্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।