গতকালকের হামলায় বিএনপির ১০ লাখ ভোট কমেছে: এবি পার্টির ফুয়াদ
বরিশালে একটি অনুষ্ঠানে গতকাল হামলার ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
তিনি বলেন, 'প্রশাসন ধরেই নিয়েছে, যখন আওয়ামী লীগ থাকবে তখন আমরা আওয়ামী লীগ, আর যখন বিএনপি আসবে বা থাকবে তখন আমরা সেই দলের হয়ে যাবে। একটা রাষ্ট্র এভাবে হতে পারে না। গত বছরের লড়াইটা হয়েছিল, আমরা রাষ্ট্রকে রাষ্ট্র বানাতে চাই বলে।'
গতকাল রোববার বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ সেতু উদ্বোধন পরবর্তী হেনস্তা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বরিশাল ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত বাবুগঞ্জ থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের নীরব ভূমিকা ও দায়িত্বে অবহেলার জন্য বরখাস্তের দাবি জানান।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ অভিযোগ করেন, 'গত ২ মাস ধরে আমার ক্যাম্পেইনে নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। থানায় গেলেও মামলা নিচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না।'
তিনি বলেন, 'আমরা বিএনপিকে বলছি, আপনাদের একাংশ যে আচরণটি করছে তাতে প্রত্যেকদিন আপনাদের হাজার হাজার ভোট কমছে। গতকালকের বাবুগঞ্জের ঘটনায় একদিনে ১০ লাখ ভোট কমেছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।'
বিএনপি ও প্রশাসনকে তিনি বলেন, 'নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য যার যেখানে যতটুকু দায়িত্ব আছে, দয়া করে সেই দায়িত্ব পালন করবেন। তারেক রহমান ৩১ দফার যে ঘোষণা দিয়েছেন সংস্কার প্রস্তাবের ওপর, আপনি বাংলাদেশকে ঢেলে সাজাবেন। তার আগে আমরা দেখতে চাই, আপনি আপনার দলকে ঢেলে সাজাবেন।'
'দলের মধ্যে ক্রিমিনাল রেখে শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ গড়তে পারবে না, বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ গড়তে পারবে না। আমরা হতাশ হচ্ছি, যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের আবার ফেরানো হচ্ছে,' যোগ করেন তিনি।
বিএনপিকে বড় দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিএনপির দায়িত্ব অনেক।'
ব্যারিস্টার ফুয়াদ প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, 'অ্যাকশনে যান, তা না হলে আপনাদের অবহেলার কারণে এই ব্যর্থতা নির্বাচনটাকে ব্যর্থ করে দেবে। এর পুরো দায় আপনাদেরকে নিতে হবে।'
নির্বাচন প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বেশকিছু মিডিয়া জরিপ করেছে ভোটের ব্যাপারে এবং ভোটার হতে পারেনি তার ব্যাপারে। এমন একটা বিশাল অংশ আছে। যে সংখ্যাটা ৫০-৬০ শতাংশের মতো। নতুন ভোটার ও সুইং ভোটারদের জন্য নির্বাচন কমিশনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা।'
তিনি বলেন, 'আমরা জেনেছি, প্রচুর তরুণ ভোটার হতে পারেননি। এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ভোটার ট্রান্সফার হতে পারে, তাও হতে পারিনি। যে লেভেলে গ্রামগঞ্জে হওয়ার কথা ছিল, ইলেকশন কমিশন থেকে আমরা সেই লেভেলের ক্যাম্পেইনিং দেখিনি। তাই আমরা ইলেকশন কমিশনকে আহ্বান করবো বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য।'
