সাজেকে অগ্নিকাণ্ড: ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা বুধবার

By নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান
25 February 2025, 15:15 PM
UPDATED 26 February 2025, 08:51 AM

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

অগ্নিকাণ্ডের কারণে পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও আজ মঙ্গলবার দুপুরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি সহায়তা আগামীকাল বুধবার বিতরণ করা হবে।

গতকাল সোমবার বিকেলে অগ্নিকাণ্ডে সাজেকের ১২০টির বেশি রিসোর্ট, কটেজ ও ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। এরপর পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের এক অফিস আদেশে জানানো হয়, অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদ্ঘাটনে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. মোবারক হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

মো. মোবারক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা আগামীকাল বুধবার থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবেন।

অগ্নিকাণ্ড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার দুপুরে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পর্যটকদের জন্য সাজেক উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

পরে রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান মো. সাইদুজ্জামানের সই করা এক অফিস আদেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। 

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে ৯৮টি রিসোর্ট, কটেজ ও বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি কটেজ, ৩৫টি বসতঘর, ৭টি রেস্টুরেন্ট এবং ২০টি দোকান পুড়ে গেছে। 

ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ সহায়তা এবং ১ হাজার ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি পরিবারকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও ৩০ কেজি চাল এবং প্রতি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকারি মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন গাইডলাইন ২০১২-১৩ অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বুধবার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে এই সহায়তা বিতরণ করা হবে।'