পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
20 January 2025, 06:58 AM
UPDATED 20 January 2025, 13:10 PM

২৭ বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করেছে সরকার।

পুনর্গঠিত কমিটিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে আছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ও এ বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা।

গত ১২ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় শাখা-১ এর উপসচিব নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

পুনর্গঠিত কমিটির কাজ প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিটি এই চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করবে। পাশাপাশি এই চুক্তির আওতায় অস্ত্র সমর্পণসহ ক্ষমা প্রদর্শন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ নিষ্পন্ন করার জন্য কর্মসূচি প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া এই চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ অধস্তন সবগুলো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের কর্মতৎপরতার মধ্যে সমন্বয়, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে৷

এর বাইরে শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত কার্যক্রম তত্ত্বাবধান এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রতিপালন করবে এবং সে অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। চুক্তির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনে বাস্তবায়ন কমিটি সাব-কমিটি গঠন করতে পারবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানসহ এ সংক্রান্ত সকল ব্যয় বহন করবে।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য চুক্তি বা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে চুক্তির মৌলিক ধারাগুলো বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নতুন করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন করার দাবি উঠতে থাকে।

২৪ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন অগ্রাধিকার তালিকায় রাখার জন্য পাঁচ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। এর ভেতর পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠনের দাবিও ছিল।

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে একই দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি দেয় চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন।