এই রায় যুগান্তকারী, ভবিষ্যতের জন্য বার্তা: অ্যাটর্নি জেনারেল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে 'যুগান্তকারী' ও 'ভবিষ্যতের জন্য বার্তা' হিসেবে অভিহিত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছে।
রায়ের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'আমরা মনে করি এই রায় শহীদদের প্রতি, দেশের প্রতি, এদেশের মানুষের প্রতি, গণতন্ত্রের প্রতি, সংবিধানের প্রতি, আইনের শাসনের প্রতি এবং আগামী প্রজন্মের প্রতি দায় পরিশোধের স্বার্থে একটি যুগান্তকারী রায়। এই রায় জনমানুষের মনে প্রশান্তি আনবে এবং বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।'
সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আদালত এই মামলার দুজন আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এর মধ্যে একজন আসামি রাজসাক্ষী হওয়ায় সার্বিক বিবেচনায় আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
শেখ হাসিনার সাজার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে তিনটি বিবেচনায় নিয়ে আদালত সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন। 'ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়'–এর জন্য আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং সরাসরি নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজা কার্যকরের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আইনের বিধান অনুযায়ী, আসামিরা যেদিন গ্রেপ্তার হবেন, সেদিন থেকেই তাদের সাজা কার্যকর হবে।'
পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'এক্ষেত্রে রাষ্ট্র আইনিভাবে যা করা সম্ভব, তাই করবে।'
তিনি আরও জানান, মামলায় শহীদদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'এই মামলায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো বিষয় ছিল না। তাই এ বিষয়ে আদালত কোনো মন্তব্য করেননি।'

