সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে আদালতে আইও
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্ত শেষ করতে বেশি সময় লাগার কারণ ব্যাখ্যা করতে ঢাকার আদালতে হাজির হয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)।
আদালতে কর্মরত এক উপপরিদর্শক জানান, আজ রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক আদালতে হাজির হন।
তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে বলেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
এর আগে গত ১১ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান তদন্ত কর্মকর্তাকে আজ আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হতে এবং মামলার তদন্ত অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিল করতে সমন জারি করেন।
আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। মামলার নথি অনুযায়ী, এ নিয়ে ১২২তম বার সময় বাড়লো।
তদন্ত কর্মকর্তাকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পিবিআই কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত তদন্তকারীরা ৭০ জনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সংস্থাটি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রহমান, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক নৌবাহিনী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল এবং মামলার আসামি হুমায়ুন কবির, পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমানকে।
মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার সিনিয়র প্রতিবেদক রুনি ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন।
এ হত্যাকাণ্ডের পর আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন—কামরুল ইসলাম ওরফে অরুণ, আবু সাঈদ, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, পলাশ রুদ্র পাল, আনামুল হক ওরফে হুমায়ুন কবির ও তানভীর রহমান খান। বর্তমানে তানভীর ও পলাশ জামিনে এবং বাকিরা কারাগারে আছেন।
শুরুতে শেরেবাংলা নগর থানা মামলাটি তদন্ত করে। পরে ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং একই বছরের এপ্রিলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে যায়। র্যাব ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত তদন্ত করে।
গত বছরের ৪ নভেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআই গ্রহণ করে।
গত ২৩ অক্টোবর চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়, যেখানে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে এবং ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্টে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।