এবার ইরানের নতুন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
17 June 2025, 08:10 AM
UPDATED 17 June 2025, 14:29 PM

তেহরানে হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর (আইআরজিসির) শীর্ষ কমান্ডার আলি শাদমানিকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, 'গতকাল রাতে হঠাত করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর সামনে একটি সুযোগ আসে। তারা তেহরানের অভ্যন্তরে একটি জনবহুল সামরিক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে আলি শাদমানিকে হত্যা করেছে। তিনিই ছিলেন যুদ্ধকালীন চিফ অব স্টাফ, সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি।'

এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি তেহরান। 

নিহত কমান্ডার আলি শাদমানি ছিলেন আইআরজিসির প্রকৌশল ও নির্মাণ সংস্থা খাতাম আল-আনবিয়া'র কেন্দ্রীয় সদরদপ্তরের প্রধান।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন সময়ে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিল খাতাম আল-আনবিয়া।  

গত শুক্রবার ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধের কারণ দেখিয়ে ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে তীব্র বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। মূলত সামরিক ও পরমাণু অবকাঠামোর ওপর হামলা চালায় ইসরায়েল।

এসব হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাঘেরি, বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেন সালামি এবং আইআরজিসির অঙ্গসংগঠন খাতাম আল-আনবিয়ার কেন্দ্রীয় সদরদপ্তরের কমান্ডার জেনারেল গোলামআলি রশিদ নিহত হন।

Rishad Hossain
খাতাম আল-আনবিয়ার সাবেক প্রধান গোলামআলি রশিদ। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

ওই ঘটনার পর সেদিনই খাতাম আল-আনবিয়ার'র কেন্দ্রীয় সদরদপ্তরের নতুন কমান্ডার হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি শাদমানিকে নিয়োগ দেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক খামেনি শাদমানিকে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত করেন।

খামেনি মেজর জেনারেল শাদমানিকে ইসরায়েলের কাছ থেকে আসা হুমকির পাল্টা জবাব দিতে কৌশলগত ও দৈনন্দিন পরিকল্পনায় নিয়োজিত হওয়ার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করার নির্দেশও পান শাদমানি।

ইসরায়েলি হামলার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান।

টানা পাঁচদিনের পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানের অন্তত ২২৪ ও ইসরায়েলের ২৪ জন নাগরিক নিহত হয়েছে।