সরকারি খরচ কমাতে ইউএসএআইডি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি: মাস্ক

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
3 February 2025, 08:18 AM
UPDATED 3 February 2025, 23:20 PM

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ কমানোর দায়িত্ব দিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ককে। এই দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। 

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান মাস্ক আজ সোমবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে আলোচনায় অংশ নেন। এই আলোচনায় উঠে এসেছে ইউএসএআইডির ভবিষ্যত।  

এই আলোচনায় আরও অংশ নেন সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিবেক রামাস্বামী, রিপাবলিকান সিনেটর জনি আর্নস্ট ও মাইক লি। আলোচনার শুরুতেই মাস্ক জানান, তারা ইউএসআইডির কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছেন।

'এটাকে আর ঠিক করা সম্ভব নয়', যোগ করেন মাস্ক।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সংগঠন বন্ধের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত।

এর আগে ইউএসএআইডিকে 'অপরাধী সংগঠন' আখ্যা দেন মাস্ক। পাশাপাশি আরও মন্তব্য করেন, 'এই সংস্থার মরে যাওয়া উচিত'।

এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে বেশ কয়েকটি বার্তা দেন মাস্ক।

রোববার ইউএসএআইডির দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের অপরাধ, তারা মাস্কের ডিওজিই বিভাগের কর্মকর্তাদের ওই সংগঠনের সদর দপ্তরের গোপন অংশগুলোতে প্রবেশ করতে দেয়নি।

এর আগে মাস্ক দাবি করেন, ইউএসএআইডি মার্কিন জনগণের করের অর্থ দিয়ে জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে, প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য অর্থ ব্যয় করেছে। তাই সংস্থাটির 'মরে যাওয়াই' ভালো।

মাস্ক এক্সে শেয়ার করা বার্তায় বলেছেন, 'আপনারা জানেন কী, ইউএসএআইডি আপনাদের করের অর্থে জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর মতো জীবাণুও অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে কয়েক কোটি মানুষ মারা গেছেন।'

পাশাপাশি ইলন মাস্ক মাইক বেঞ্জের একটি টুইট শেয়ার করে বলেন, 'ইউএসএআইডি তাদের প্রোপাগান্ডা প্রচারের জন্য গণমাধ্যমগুলোকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে।'

অবশেষে অপর এক টুইটে তিনি ঘোষণা করেন, 'মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মরে যাওয়া উচিত।'

এর আগে, ইলন মাস্ক ইউএসএআইডিকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' বলে অভিহিত করেন।

ইউএসএআইডি এককভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতা সংগঠন। ২০২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র এই সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ৭২ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করেছে।

২০২৪ সালে জাতিসংঘের নিরীক্ষায় থাকা সব ধরনের মানবিক ত্রাণের ৪২ শতাংশই দিয়েছে এই সংগঠনটি।