বাতিল হচ্ছে বেসরকারিভাবে পরিচালিত ২৪ ট্রেনের লিজ

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
12 November 2024, 11:36 AM
UPDATED 12 November 2024, 20:47 PM

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে বেসরকারিভাবে পরিচালিত ২৪ ট্রেনের লিজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

লিজ নেওয়া ইজারাদারদের বিষয়টি জানাতে রেলপথ মন্ত্রণালয় গত ৩ নভেম্বর রেলওয়ের মহাপরিচালককে চিঠি দেয়।

চিঠিতে জানানো হয়, রেলওয়ের সঙ্গে তাদের চুক্তি এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাতিল হয়ে যাবে।

রেল কর্মকর্তারা জানান, যত দ্রুত সম্ভব নতুন করে টেন্ডার দিয়ে ট্রেনগুলোকে আবার লিজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, এই ২৪ ট্রেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সালাউদ্দিন রিপন ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়।

এই কোম্পানিগুলো প্রাথমিকভাবে চার বছরের জন্য ট্রেন পরিচালনার চুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু তারা গত এক দশকের বেশি সময় ধরে নতুন টেন্ডার ছাড়াই চুক্তির সময় বাড়িয়ে ট্রেন পরিচালনা করে আসছে।

সালাউদ্দিন রিপন বরিশাল-৫ আসন থেকে গত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিগত সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও রেলের অসাধু কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ট্রেন পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়ে রেলের পূর্ব ও পশ্চিম উভয় জোনের মহাব্যবস্থাপকদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

জনবল সংকটের কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে বেসরকারি খাতের সঙ্গে কার্যক্রম শুরু করে।

বর্তমানে মোট ৩৭টি ট্রেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোর বেশিরভাগই রিপন ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন এলআর ট্রেডিং, টিএম ট্রেডিং, এসআর ট্রেডিং এবং এনএল ট্রেডিং পরিচালনা করে বলে সূত্র জানায়।

রেলওয়েকে দেওয়া চিঠিতে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বিভিন্ন জটিলতার কারণে ২০১৯ সালে বেসরকারিভাবে ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে।

চিঠিতে অবশ্য ২৪ ট্রেনের ইজারা বাতিলের পেছনে কোনো বিশেষ কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সালাউদ্দিন রিপন বেশ কয়েকটি কোম্পানি খুলে রেলের বেসরকারি খাতে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রিপনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া, বেসরকারিভাবে পরিচালিত অপর ১৩ ট্রেনের বিষয়ে কী হবে তা জানাননি রেলওয়ে মহাপরিচালক।