মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা: শেখ হাসিনার সামনে রয়েছে যেসব আইনি পথ

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
17 November 2025, 09:50 AM
UPDATED 17 November 2025, 18:55 PM

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।

তিনটি অপরাধের পৃথক অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও দুটি অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এটাই জুলাই অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট কোনো মামলার প্রথম রায়।

তবে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করলেও এটাই চূড়ান্ত ধাপ নয়। এরপরও শেখ হাসিনার আইনি লড়াইয়ের একাধিক ধাপ বাকি থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনাকে হাজির হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর অধীনে এই প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হবে। 

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল করতে পারবেন শেখ হাসিনার আইনজীবীরা। আপিলে আইনগত ত্রুটি, প্রমাণের অপব্যবহার অথবা বিচার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম দেখানো যাবে।

এরপর আপিল বিভাগ দেখবে সঠিকভাবে আইনের যে যে পদ্ধতি বা মানদণ্ড অনুসরণ করে এই মামলা পরিচালনা করার কথা ছিল, প্রত্যেকটা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে করা হয়েছে কিনা। এরপর আপিল বিভাগ রায়ের ওপর শুনানি করবেন। তারা রায় বহাল, পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারেন।

আসামিপক্ষ আপিল বিভাগের রায়ের ওপর আবার রিভিউ আবেদন করতে পারবে। রিভিউ আবেদনে নতুন প্রমাণ, আইনি ভুল বা গুরুতর অন্যায় দেখাতে হয়। বিচারপতিরা আপিল বিভাগের রায় বহাল রাখতে, সংশোধন করতে বা পুনরায় শুনানির নির্দেশ দিতে পারেন। এটাই বিচারিক প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ।

তবে রিভিউয়ে দেওয়া চূড়ান্ত রায়ের পরও শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সাজা মওকুফের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনার দণ্ড মওকুফ, কমানো বা স্থগিত করতে পারেন।