ঘূর্ণিঝড় ডিতওয়াহর প্রভাবে শ্রীলঙ্কায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৩, নিখোঁজ অন্তত ১৯১

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
29 November 2025, 15:26 PM
UPDATED 29 November 2025, 21:36 PM
ঘূর্ণিঝড় ডিতওয়াহর প্রভাবে শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখনো ১৯১ জন নিখোঁজ এবং সারা দেশে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় ডিতওয়াহর প্রভাবে শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখনো ১৯১ জন নিখোঁজ এবং সারা দেশে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

আজ শনিবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের (ডিএমসি) কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার এ সংখ্যা ছিল ৪৬।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ঘর।

দেশটির দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে প্রায় ৮০০টি ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ, নৌ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা খাদ্য বিতরণ, রাস্তা পরিষ্কার এবং আটকে পড়া পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন।

কলম্বো থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের শহর মালওয়ানা। কেলানি নদীর তীরবর্তী শহরটির বাসিন্দারা বর্তমানে গত দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি।

এ এলাকার বাসিন্দা মল্লিকা কুমারির ঘরটি ছাদ পর্যন্ত গতকাল শুক্রবার দ্রুত পানির নিচে ডুবে যায়। রয়টার্সকে তিনি বলেন, 'আমি টিভিতে বন্যা সতর্কতা শুনছিলাম। কিন্তু কখনো ভাবিনি নদী এত দ্রুত ভরে উঠবে। আমরা কিছুই নিতে পারিনি, হুড়মুড় করে ঘর থেকে বের হয়ে গেছি।'

বন্যায় মালওয়ানা ও কলম্বোর আশপাশের অন্যান্য নিচু এলাকার অধিকাংশ বাড়ি পানির নিচে এবং বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের অব্যাহত বৃষ্টির পূর্বাভাস এলাকাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।

মূল্যবান সামগ্রী রক্ষার জন্য আংশিকভাবে ডুবে থাকা বাড়ির ওপরের তলায় অবস্থান করছেন কিছু বাসিন্দা।

স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান— ফার্মেসি, সুপারমার্কেট ও কাপড়ের দোকানগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। মালিকরা দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

২০১৬ সালের বন্যার তুলনায় পানির উচ্চতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ডিএমসি। ওই বন্যায় শ্রীলঙ্কায় ৭১ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।