‘কে-পপ ভিডিও দেখা ও বিতরণের অভিযোগে’ উ. কোরিয়ায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ট্রানজিশনাল জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ (টিজেডব্লিউজি) জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ ভিডিও দেখা ও বিতরণের অভিযোগে গত এক দশকে অন্তত ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
টিজেডব্লিউজির এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ এ তথ্য জানায়।
টিজেডব্লিউজির প্রতিবেদনে 'দক্ষিণ কোরিয়ার ভিডিও দেখা বা বিতরণের' কারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ৭টি উদাহরণ উল্লেখ করা হয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে ৬টি ঘটেছে ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের অনেকের পরিবারকে মৃত্যুদণ্ড দেখতে বাধ্য করেছে উত্তর কোরিয়া।
কিছু ক্ষেত্রে আশেপাশের গোষ্ঠীর নেতাদের সময়ের আগেই মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণার কথা জানানো হয়েছিল, যেন তারা মৃত্যুদণ্ড দেখার জন্য দলবল নিয়ে হাজির হতে পারেন। একজন নারী টিজেডব্লিউজিকে জানিয়েছেন, তিনি ২০১৩ সালে প্রায় ২০ জন নারীকে নিয়ে একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেখতে গিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দশক আগে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার গান, সিনেমা ও টিভি নাটকের ব্যাপারে বিদ্বেষ প্রকাশ করে আসছেন। তার মতে, এগুলো উত্তর কোরিয়ানদের মন কলুষিত করে দেয়৷
গত ডিসেম্বরে প্রণীত একটি আইন অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন উপাদান বিতরণের দায়ে উত্তর কোরিয়াতে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
যদিও, ২০১৮ সালে কিম জং উন পিয়ংইয়ংয়ে একটি কনসার্টে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গীতশিল্পীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এ ধরনের ঘটনা অবশ্য দেশটিতে বিরল।